রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:১৩ অপরাহ্ন
মো. আতিকুর রহমান:
দ্বীপ জেলা ভোলার অন্যতম সামাজিক সংগঠন ভোলা ডেভেলপমেন্ট ফোরাম (বিডিএফ)-এর ঢাকা কেন্দ্রীক সদস্য সংগ্রহ ও মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) ঢাকায় কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউতে হ্যাপী রহমান প্লাজায় বিকাল ৫.৩০ মিনিট এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। ভোলা ডেভেলপমেন্ট ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান হাওলাদারের সঞ্চালনায় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিডিএফের প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক এম জহিরুল আলম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ টাইসল মার্চেন্টস্ এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জনাব এম উ বেলাল রসুল। এছাড়া অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের আজীবন সদস্য ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামি ব্যাংকের এডিপি জনাব মো. মিজানুর রহমান লিটন, সুপ্রীম কোর্টের আইজীবী এ্যাড রেজা, বিডিএফ এর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য জনাব নিয়াজ আহমেদ ও জনাব মো. নুরনবী খান, মিসেস শীলা, মিসেস কেয়া চৌধুরী সহ প্রমুখ। উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন জনতা ব্যাংকের এজিএম জনাব মো. মামুনুর রহমান।
সভায় ভোলার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রম নিয়ে অতিথিরা তাদের বক্তব্য উপস্থাপন করেন। তবে উপস্থিত বক্তাদের অধিকাংশই ভোলার বেশ কয়েকটি উন্নয়নমূলক কার্যক্রম বাস্তবায়নে বিডিএফের করনীয় প্রসঙ্গে আলোচনা করেন। আলোচনার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি বিষয় ছিলো ভোলা-বরিশাল সেতু, মেডিকেল কলেজ স্থাপন, সড়কপথের বিশেষ উন্নয়ন এবং গ্যাস সুবিধা নিশ্চিতকরন। ধারাবাহিকভাবে উল্লেখিত বিষয় গুলো নিয়ে বিডিএফ কার্যকরি ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে সভায় সিদ্ধান্ত হয়।
সভায় বিডিএফের সাধারণ সম্পাদক এম জহিরুল আলম বলেন, “ভোলা-বরিশাল সেতু প্রকল্পের অগ্রগতি জানতে প্রকল্প পরিচালক জনাব মো. লিয়াকত আলী মহোদয় এর সাথে সেতু ভবনে এক বিশেষ আলোচনায় মিলিত হয় বিডিএফ। ইতিমধ্যে ফিজিবিলিটি সম্পন্ন হয়ে খসড়া প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে যা আগামী ৩০ আগস্ট তারিখের সভায় চূড়ান্ত করা হবে। সেতুটি তিনটি নদী কালাবদর, তেঁতুলিয়া ও আড়িয়াল খাঁর অংশ মিলিয়ে প্রায় তিন কিলোমিটার দৈর্ঘ্য হবে। এটি বর্তমান সরকারের অগ্রাধিকার প্রকল্পের একটি বিধায় দ্রুততম সময় এটি শুরু হবে বলে প্রকল্প পরিচালক জনাব মো. লিয়াকত আলী ও সেতু কর্তৃপক্ষের উপ সচিব জনাব আবুল হাসান প্রতিনিধি দল কে অবহিত করেন। উক্ত প্রকল্পে জাপানী একটি কোম্পানি অর্থসংস্থান করতে ব্যাপক আগ্রহ প্রকাশ করায় বিডিএফ তাৎক্ষনিক ভোলার গর্ব জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জনাব শাহাবুদ্দিন আহমেদ এর সাথে প্রকল্প পরিচালকের সাথে কথা বলিয়ে দেন এবং মান্যবর রাষ্ট্রদূত জনাব শাহাবুদ্দিন আহমেদ এ ব্যাপারে জাপানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে উক্ত বিষয়ে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।”
সভায় ঢাকা কেন্দ্রীক বিডিএফের সাংগঠনিক কাঠামো শক্তিশালী করার লক্ষ্যে সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। স্ব স্ব অবস্থানে প্রতিষ্ঠিত ভোলার প্রায় অর্ধ শতাধিক ব্যক্তিবর্গ ওইদিন বিডিএফের সদস্যপদ লাভ করেন। ঢাকায় বিডিএফের সাংগঠনিক কার্যক্রম সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরিচালনার লক্ষে সাত (০৭) বিশিষ্ট একটি সমন্বয়ক কমিটি গঠন করা হয়। সমন্বয়ক কমিটির সদস্যরা হলেন মোশারেফ হোসেন কবির হাং, মঈন, নুর মোহাম্মদ, ইকবাল হোসেন, তরিকুল ইসলাম মাসুদ, সৈয়দ মো. রেজা উজ-জামান, মো. তারেক। উক্ত সমন্বয়ক কমিটি কেন্দ্রীয় পরিষদের সাথে সমন্বয় করে ঢাকায় বিডিএফের সদস্য সংগ্রহ এবং সাধারণ সভা আয়োজনের মাধ্যমে ঢাকায় পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের লক্ষে কাজ করবেন।
উল্লেখ্য, বিডিএফ ভোলার সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে ভোলার মানুষকে সচেতন করা, সৃষ্ট যেকোনো সমস্যা সমাধানে করণীয় সম্পর্কে সরকারের নীতি নির্ধারনী ফোরামে তুলে ধরা, প্রধান সমস্যা নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা, গ্রীণ লাইনের মাধ্যমে ভোলার শতবর্ষের বঞ্চনা দিবা শৃংখল মুক্তি, ভোলা-লক্ষ্মীপুর নৌপথের সমস্যার সমাধানে অবিরাম কাজ করা এবং নৌ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে রেজুলেশন করানো, ভোলার বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধানে সাবেক বিদ্যুৎ সচিব ভোলার গর্ব ড. সুলতান আহমেদ এর মাধ্যমে যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং করোনাকালে ভোলার মহান চিকিৎসকগণের মাধ্যমে টেলিমেডিসিন সেবা প্রদানসহ বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়নমূলক কার্যক্রম দীর্ঘদিন ধরে পরিচালনা করে আসছে।